প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দফতরে একাত্তরের গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার ওপর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দফতরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাতিসংঘে দায়িত্বরত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

জাতিসংঘ সদর দফতরে একাত্তরের গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

এই প্রদর্শনীটি বুধবার জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এসময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘ সদর দফতরে একাত্তরের গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তিনি এই প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজন করতে আন্তরিকভাবে সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

জাতিসংঘ সদর দফতরে একাত্তরের গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও জোর প্রচেষ্টা চালানো  দরকার। এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা এবং অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতিসংঘ সদর দফতরে একাত্তরের গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এটি আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।