বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী না থাকায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের অনুপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল’ আলোচনা করতে পারেনি কমিটি। আগের বৈঠকেও প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে বিলটি আলোচনা হয়নি।

রবিবার (২১ মে) সংসদীয় কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

গত ৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩’ উত্থাপন করলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সেটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য গত ১৩ এপ্রিল সংসদীয় কমিটি বৈঠকে বসে। সেদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজানান সুফিয়ান। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর সম্মতিতে বৈঠক আহ্বান করা হয় এবং তার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারিখ পরিবর্তন করা হয়, অথচ তিনি বৈঠকে বেশিরভাগ সমিই অনুপস্থিত থাকেন। পরে ওই বৈঠকে বিলের ওপর আলোচনা পরবর্তী বৈঠকে হবে বলে  সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী রবিবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত বৈঠকের এজেন্ডায় এটি আলোচনার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

সূত্রে জানা গেছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন— এমন নিশ্চিয়তা নিয়েই এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সকাল ১১টার কিছু পরে বৈঠক শুরু হলেও প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত না থাকার বিষয়টি কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শুরুতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিমন্ত্রী রাস্তায় আছেন। তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেবেন না। এতে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বৈঠক শেষ করা হয়।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল নিয়ে আজকে আলোচনার কথা থাকলেও প্রতিমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।’

তিনি জানান, প্রতিমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় চলতি সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদীয় কমিটির পক্ষে বিলটি নিয়ে সংসদে রিপোর্ট উত্থাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে করে সংসদীয় কমিটির আবারও সময় চাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।

এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, অত্যাবশ্যক জরুরি পরিষেবা বিল সম্পর্কে পরবর্তী বৈঠকে সুপারিশসহ আলোচনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়।

কমিটির সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন— কমিটির সদস্য শাজাহান খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুন নাহার, আনোয়ার হোসেন হেলাল।