ফিরতি হজ ফ্লাইট: দেশে পৌঁছালেন ৩৩৩ হাজি

হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৩৩৩ জন হাজি।  বাংলাদেশে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদি আরবের এয়ারলাইন ফ্লাইনাস। রবিবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

হাজিদের অভ্যর্থনা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। এ সময় বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরীসহ বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রত্যেক হাজির হাতে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির কন্টেইনার বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ফ্লাইনাস দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইনাস ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে নিয়ে গিয়েছিল। হজ ফ্লাইটের জন্য এয়ারবাসের এ-৩০০ নতুন বিমান ব্যবহার করছে এয়ারলাইনটি। এছাড়া বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ফ্লাইটে বাংলা ভাষী কেবিন ক্রুরা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ৮ ঘণ্টার ফ্লাইটে হাজিদের দুবার খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

এদিকে হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইনগুলো। তারা জানিয়েছে,  হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব হাজির জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে।  হাজিরা  বাংলাদেশে আসলেই প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির একটি কন্টেইনার পাবেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।

এয়ারলাইনগুলো জানিয়েছে, সৌদি  সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটার জমজমের পানি নির্ধারিত করেছে, তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনও হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি নামিয়ে রাখার পর, তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে  উট, দুম্বার কাঁচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন, এটিও নিষিদ্ধ।