আবারও ওয়াসার এমডি হচ্ছেন তাকসিম

সপ্তমবারের মতো ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হচ্ছেন তাকসিম এ খান। এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ওয়াসা বোর্ড। তবে মিটিংয়ে ওয়াসা বোর্ডের ৯ সদস্যের তিন জন নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) দিয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মেয়াদ শেষ হবে তাকসিম এ খানের।

ওয়াসার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকালে সংস্থাটির বিশেষ বোর্ড সভায় তাকসিম এ খানকে পুনরায় ওয়াসার এমডি করার প্রস্তাব পাস করা হয়। সভায় ৯ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন এমডির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। বাকি তিনজন সদস্য এ প্রস্তাবের বিপক্ষে নোট অব ডিসেন্ট দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

বোর্ড সভার অন্তত দুইজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বোর্ড সভায় তাকসিম এ খানকে পুনরায় এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব উঠলে এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনজন সদস্য। তারা হলেন— ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ এফসিএ এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম আবদুল হামিদ।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। এরপর থেকে পরপর আরও পাঁচবার নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। আগামী ১৪ অক্টোবর তার সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে।

১৯৯৬ সালের 'ওয়াসা অ্যাক্ট' অনুযায়ী পরিচালিত হয় ঢাকা ওয়াসা। এ আইনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন এমডি। ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এমডি পদে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু এক ব্যক্তি একই পদে সর্বোচ্চ কতবার বা কত বছর নিয়োগ পেতে পারেন, সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই। ফলে ২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে। এর আগে আরও পাঁচ দফা নিয়োগ পেলেও প্রতিবারই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। এ বছর সপ্তমবারের মতো প্রক্রিয়া চলছে।