‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্সের বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ’

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায় ফ্রান্স। বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় সরকার। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর উপলক্ষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন ‘জি-২০ সম্মেলনে’ দিল্লিতে। তিনি প্রস্তাব করেছেন, জি-২০ সম্মেলন শেষ করে বাংলাদেশে আসতে চান। ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলন শেষ হবে এবং মনে হয়, তারপর তিনি বাংলাদেশে আসবেন। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।’’

ইন্দো-প্যাসিফিক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্স যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে চায়। তাদের একটি নতুন প্রোগ্রাম হচ্ছে, তারা ইন্দো-প্যাসিফিকে যথেষ্ট বিনিয়োগ করবে এবং এ অঞ্চলের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াবে। আমারা বলেছি, এটি ভালো উদ্যোগ। আমরা এটি চাই।’

ফ্রান্সের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বৈধ অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা কিছু বিমান বিক্রি করতে চায় এবং আমরা রাজি হয়েছি। এয়ারবাসের ১০টি বিমান। এরমধ্যে দুটি কার্গো বিমান। আমাদের ডলার সংকটের কারণে প্রক্রিয়াটি কিছুটা দেরি হয়েছে। আমরা দুটিই চাই, বোয়িং ও এয়ারবাস।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ঢাকা আসবেন ৭ সেপ্টেম্বর এবং পরের দিন তিনি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লি যাবেন।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে গত নভেম্বরে ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি আসবেনও বলেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি আসতে পারেননি। এবারে ল্যাভরভ জি-২০ সম্মেলনে দিল্লি আসবেন এবং সেখানে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে আসবেন।’

রাশিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশ প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করছে জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যা ছিলে। রাশিয়া যখন কিছু ইকুইপমেন্ট পাঠায়, তখন যে জাহাজ দিয়ে পাঠিয়েছিল, সেটি ছিল নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ। কিন্তু এটি রাশিয়ার দোষ নয়। এটি যারা পাঠিয়েছে সেই কন্ট্রাক্টরের দোষ। তারা সস্তা দরের জাহাজ পেয়ে সেটিতে পাঠায়। তখন আমেরিকানরা অবজেকশন দেয়। আমরা তখন সেই জাহাজটি গ্রহণ করিনি।’

নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়াকে অর্থ পাঠানোর যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেটির সমাধান হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।