লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ও পটুয়াখালী-১ আসনের এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে শোক জানালো জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর উত্থাপিত এ সংক্রান্ত শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়। এর আগে শোকপ্রস্তাবের ওপর সংসদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা বক্তব্য রাখেন।
পরে সংসদে ১ মিনিট নিরবতা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকার দলের এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনটা আমাদের শোক প্রস্তাব নিতে নিতেই সময় গেল। এটা সব থেকে দুঃখজনক।
তিনি বলেন, একে এক আমরা অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। কোভিডকালে তো ছিল আরও বেশি। এবার আমাদের তিন জন সমস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের বয়স হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভোট ও ভাতের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও এম শাহজাহান মিয়া যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। সবাইকে মরতে হবে জানি। তারপরও সংসদের শেষ বেলায় এসে সবাই আমাদের একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য সত্যি কষ্টকর।
সংসদ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এই সংসদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এটাই বোধহয় এই আমালের আমাদের শেষ অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনটা শুরু করতে হলো কয়েকজন সংসদ সদস্যের মৃত্যু সংবাদ দিয়ে।
মৃত্যুবরণকারী এমপিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শেখ হসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে তাদের ভূমিকার জন্য তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
অন্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আ স ম ফিরোজ, নূর উদ্দিন নয়ন, আনোয়ার হোসেন খান, মুহিবুর রহমান, কাজী কানিজ সুলতানা, মসিউর রহমান রাঙা, পীর ফজলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।