বিমানের পাওনা রয়েছে, এমন অনেক ট্রাভেল এজেন্টের অস্তিত্ব নেই

বাংলাদেশ বিমানের পাওনা রয়েছে, এমন অনেক ট্রাভেল এজেন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বৃস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এমন তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রী জানান, পাওনা টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু এজেন্ট দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এবং লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। অনেক এজেন্টের দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে তার কোনও অফিস বা অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিছু এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাভেল এজেন্টের কাছে বাংলাদেশ বিমানের পাওনা (খেলাপি) ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ২২৩ টাকা। কর্গো এজেন্টের কাছে পাওনা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮০ টাকা।

হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবরবতন মন্ত্রী জানান, দেশে সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ ৯১ হাজার ৩৮১ দশমিক ৮৯ একর। সংরক্ষিত বনভূমি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নীলফামারী, নওগাঁ ও নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ ২৫ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর।

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলে বরাদ্দ করা অর্থ ও তহবিলের সুদ থেকে ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৬১টি সরকারি ও ৬১টি বেসরকারিসহ ৯২২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৬০১টি সমাপ্ত হয়েছে।

হাজী সেলিমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, দেশে ভূমিহীন পরিমানেন সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৪টি। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও মন্ত্রীর জবাব থেকে উঠে আসে।