২৫ মিনিটে মেট্রোরেলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে প্রধানমন্ত্রী

মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও টু মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর আধুনিক এই নগর গণপরিবহনে চেপে বসেন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ২৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পৌঁছান তিনি। মতিঝিল স্টেশনে নেমে আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভার উদ্দেমে রওনা দেন তিনি।

মেট্রোরেলে বসা প্রধানমন্ত্রী

শনিবার (৪ নভেম্বর) দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধনের পর দেশের প্রথম মেট্রোরেল কার্যত পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পার হতে পারবেন যাত্রীরা। এলিভেটেড লাইন হওয়ায় রাজধানীর চিরচেনা যানজটে পড়তে হবে না যাত্রীদের। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথের জন্য ভাড়া গুণতে হবে ১০০ টাকা। অবশ্য শুরুতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের সবগুলো স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে না। চলবে সকাল থেকে রাত অবধি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য অতিথিরা

জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পটি ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই হয়। প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের কথা ছিল। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় সেটি কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দূরত্ব এক দশমিক ৬ কিলোমিটার। বর্তমানে বর্ধিত অংশের অর্থাৎ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যদিও নির্মাণকাজের শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের বাস্তব কাজ শেষ হয়েছে ৯৮ দশমিক ০৮ শতাংশ।