‘মিয়ানমারের দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ট্রান্স এশিয়ান সংযোগ সম্ভব হয়নি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শনিবার চালু হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। তবে মিয়ানমারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন বিস্তার করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য থাকলেও প্রতিবেশী দেশটির দুর্বল রেল অবকাঠামের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
 
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নবনির্মিত কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান মন্ত্রী। 

মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প রামু থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত হলেও এটা আমাদের প্রতিবেশী দেশ বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে যুক্ত হবে। বার্মার দিক থেকে রেলের যে অবকাঠামো, সেখানে তারা পিছিয়ে আছে। যে কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কক্সবাজার পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ট্রান্স এশিয়ান যে রেল চলাচলের কথা বলা হচ্ছে, সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, বার্মার দিক থেকে চীনের সঙ্গে, কুমবিংয়ের সঙ্গে যে রেলপথ; সেটি বার্মা বা চীন সরকারের সহায়তায় যতদিন বাস্তবায়ন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এই রেলপথ নির্মাণে রাজনৈতিক একটা প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনি যে অঙ্গীকার করেছিলাম, বলা যাবে সেটা পূরণ করেছি। এতে মানুষ উন্নয়নের যে ধারা তার সঙ্গে থাকবে বলে মনে করি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল এই আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন বলে জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন যে কয়টি প্রকল্প আছে তার মধ্যে এটিও অন্যতম একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। রেল সম্প্রসারণের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে সেখানেও এই রেল যোগাযোগ বড় ভূমিকা রাখবে। কাল উদ্বোধনের মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’

মালবাহী ট্রেনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। একটি আন্তনগর ট্রেন দিয়ে শুরু হবে। একটা মেইল ট্রেন দোহাজারী পর্যন্ত চলাচল করে সেটা পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার পর্যন্ত আসবে।’