সরকার নাগরিকদের ঝামেলামুক্ত সেবা দিতে চায়: তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, সরকার নাগরিকদের ঝামেলামুক্ত সেবা দিতে চায়। এ জন্য দরকার একটা সমন্বিত প্ল্যাটফরম। এ উদ্দেশ্যে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেন্টের (এটুআই) সহযোগিতায় সরকার মাইগভ প্ল্যাটফরম তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’ এবং ‘সাইবার সিকিউরিটি ইন ডেইলি লাইফ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের নাগরিক সেবাগুলো মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণের ঘোষণা দেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন– বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ জলিল (মুন্না রায়হান), ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, এটুআই প্রোগ্রামের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান।

হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট তার প্রধান সেবাগুলো সাইগভে অন্তর্ভুক্ত করায় আনন্দিত। আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে গড়তে চাই ক্যাশলেস, ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে নূরুন নাহার হেনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেয়। ২০২৩ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজলভ্য করে।’

মাইগভ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নাগরিকরা জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সেবাগুলোতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কোর্সে আবেদন, প্রশিক্ষণ কোর্সে রেজিস্ট্রেশন, ই-সনদপত্র গ্রহণ, অডিটোরিয়াম, বেতার স্টুডিও, টিভি স্টুডিওসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়ার আবেদন এবং পেমেন্ট করতে পারবেন।’

আলোচক তানভীর হাসান জোহা তার আলোচনায় সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন– জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক এবং পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। সেমিনারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।