ভোটার উপস্থিতি ভালো  থাকলে সেটি নির্বাচনের পক্ষে যাবে: পররাষ্ট্র সচিব

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো থাকলে সেটি নির্বাচনের পক্ষে যাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এ কথা বলেন।  মাসুদ বিন মোমেন  বলেন, ‘যদি ভোটার উপস্থিতি ভালো থাকে তাহলে নিশ্চয়ই সেটি নির্বাচনের পক্ষে যাবে, গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে যাবে। দেখা যাক, এখনই মূল্যায়নের সময় আসেনি।’

ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পরে খুব নির্বিঘ্নেই ভোট দেওয়া গেলো। কোনও ধরনের বাধা বা প্ররোচণা ছিল না এখানে।’

নিজের মাকে সঙ্গে করে ভোট দিতে এসে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমি অনেকদিন ভোট দিতে পারিনি। কারণ বিদেশে ছিলাম। আমার আব্বা নিয়মিত আসতেন আম্মাকে নিয়ে। আব্বা মারা গেছেন ছয়-সাত বছর হয়ে গেছে। এবার সুযোগ পেলাম আম্মাকে নিয়ে আসার। উনার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। উনি এসেছেন খুব সকালে উৎসাহের সঙ্গে।’

ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি জানান, শহরের মানুষ মনে হয় বন্ধের দিনে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। আমার মনে হয় আসবে তারা। গ্রামে যেটি খবর পেলাম – আমার স্ত্রী তার বাবাকে নিয়ে ইতোমধ্যে ভোট দিয়েছে। গ্রামে উৎসাহ-উদ্দীপনা কিছুটা বেশি এবং মহিলাদের উপস্থিতি বেশি।

বিদেশ পর্যবেক্ষকরা সকাল সাতটার সময় বেড়িয়ে গেছেন। আবার অনেকে গতকালই ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় গেছেন। উনারা আজ বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসবেন বলে তিনি জানান।

কী পরিমাণ ভোট পড়তে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বলা মুশকিল। তবে এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ভয় পেয়েছিল বিশেষ করে পরশু রাতে ট্রেনে যে নাশকতার কাজটি ঘটেছে, তারপরে। কিছু কিছু জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে, কিছু জায়গায় আগুন লাগানো হয়েছে।’

ভোটার উপস্থিতি একটি ফ্যাক্টর। কিন্তু প্রক্রিয়াটি ঠিক হলো কিনা, স্বচ্ছ হলো কিনা, কোনও ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হলো কিনা, কোন ধরনের অনিয়ম ছিল কিনা – এখানে অনেকগুলো ধাপ আছে। প্রতিটি ধাপ যেন স্বচ্ছ হয়, সুন্দর হয়– সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘গতকাল শনিবার বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে যে প্রতিনিধি দলগুলো এসেছে, তারা জানিয়েছে— তারা ভোটার উপস্থিতি নয়, বরং প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কিনা, সেটি দেখতে এসেছে। এটি তাদের মূল বিবেচ্য বিষয়।’