মাঝ আকাশে বিমানের ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ডে ফাটল

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে সৌদি আরবের দাম্মামগামী একটি ফ্লাইটের ককপিটের উইন্ডশিল্ডে (সামনের অংশের কাচ) ফাটল দেখা দিয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে ওড়ার দুই ঘণ্টা পর সেটি আবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রুর সবাই নিরাপদে আছেন। ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন তানিয়া রেজা।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ককপিটের কাচে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ক্যাপ্টেন সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদ রয়েছেন। এই ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।

জানা গেছে, দাম্মামগামী বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজটিতে ২৮৫ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল। ঢাকা থেকে ওড়ার পর ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ককপিটের কাচে ফাটল দেখতে পেয়ে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতের আকাশসীমা থেকে আবার ঢাকার পথ ধরেন।

আরও পড়ুন- ড্রিমলাইনারে ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ, ওজন ২৯টি হাতির সমান!

বিমানের প্রকৌশল ও উপাদান ব্যবস্থাপনা পরিদফতরের পরিচালক এয়ার কমোডর মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওড়ার পর আকাশে সেটির উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক দেখা দেয়। বিমান কেনার চার বছরের মাথায় সাধারণত এমন ঘটনা হওয়ার কথা না। আমরা বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এটা ম্যানুফেকচারিং ফল্ট না অন্য কোনও কারণে হয়েছে সেটাও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা চলছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার (ফাইল ছবি)

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের একটি বোয়িং ৭৩৭-এর ককপিটের কাচ ফেটে গেলে সেটি মালয়েশিয়ায় গ্রাউন্ডেড করা হয়। একই বছরের আগস্টে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার মাঝ আকাশে একই সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটিকে ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।

এভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের চাপ কমে গিয়ে সেটি ভারসাম্যহীনতার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে।