বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী গাম্বিয়া

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে গাম্বিয়া আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত গাম্বিয়ার হাইকমিশনার মুসতাফা জাওয়ারা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়ার হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করেছে গাম্বিয়া। এ জন্য গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি।

এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করছে। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।

গাম্বিয়ার হাইকমিশনার জানান, গাম্বিয়া আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। গাম্বিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সে জন্য গাম্বিয়া বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন কৃষিপণ্য আমদানি, বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিক্ষা, ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।

আলোচনায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাম্বিয়ার হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে গাম্বিয়া বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরাদার হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে অতি উন্নত মানের পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তরা পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে একটি নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চায়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা এখন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ-ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ করেছি, আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে। এ মেলায় আমার অংশগ্রহণ অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।