খেলাপি ঋণ কমছে না, বাড়ছে: আক্ষেপ বিরোধীদলীয় উপনেতার

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু কখনও খেলাপি ঋণ কমতে দেখা যায় না, বরং বাড়ছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই এমপি বলেন, বর্তমান সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত অন্যতম দুর্বল খাত। তারল্য সংকট, ডলার সংকট আছে। এসব বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, কিছু শক্ত পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার। সংসদে খেলাপী ঋণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কিছু হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারা অন্যভাবে চেষ্টা করবেন, স্বচ্ছতা আনবেন। সে স্বচ্ছতা যাতে ফিরিয়ে আনেন।

আনিসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে বর্তমানে যে খেলাপি ঋণ আছে সেটি মোট অনাদায়ী ঋণের ৯ শতাংশ। এটাকে কমিয়ে ৮ শতাংশে আনবেন। এটিকে সমর্থন করি। কিন্তু ওনারা তো করবেন না। আমরা তাদের যে ট্র্যাক রেকর্ড দেখছি সেখানে আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি না। 

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ডলার সংকট নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন বিদেশে অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে। যদি অর্থমন্ত্রী এটা জানেনই তাহলে নাম প্রকাশ করুন কারা বিদেশে টাকা পাচার করলেন।

গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠলে কর্মকর্তাকে অন্য দফতরে বদলি করা হয়। এটা হয় প্রাইজ পোস্টিংয়ের মতো। বড় দুর্নীতির বিষয় পত্রপত্রিকায় এলে বিভাগীয় তদন্ত হয়। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখে না। এখন দেশে মূল সমস্যা দুর্নীতি ও বিচারহীনতা। কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক কিশোর গ্যাং ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।