উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের উচ্চপর্যায়ের কমিটির ২২তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী। তিনি বলেন, বৈশ্বিক ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক আস্থার স্বার্থে এ বিষয়ে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত চৌধুরী স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াধীন দেশগুলোর জন্য বর্তমানে বিদ্যমান বিশেষ সুবিধাগুলো দীর্ঘায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই সুবিধাগুলো হঠাৎ করে প্রত্যাহার না করে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া উচিত, যাতে উত্তরণ প্রক্রিয়াটি টেকসই ও স্থায়ী হয়।
রাষ্ট্রদূত নোমান চৌধুরী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন নিজেদের সম্পদ আহরণ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো মৌলিক সেবাখাতে উন্নতি করতে পারে, সে জন্য ‘সোশ্যাল বিজনেস’ বা সামাজিক উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি এ খাতে ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি উন্নয়নশীল দেশের তরুণদের মূল শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে যুবসমাজকে রাখতে হবে। তারুণ্যের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ উদীয়মান প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা অর্জনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
রাষ্ট্রদূত নোমান চৌধুরী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘তিন শূন্যের’ (জিরো প্রোভার্টি, জিরো আন-এমপ্লয়মেন্ট, জিরো নেট কার্বন ইমিশন) বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।