বিজিপি’র ১৭৭ সদস্যকে সমুদ্রপথে পাঠানো হবে

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এর আগে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্যকে সমুদ্রপথে পাঠানো হয়েছিল। এবারও সেভাবেই পাঠানো হবে। তবে রাখাইন থেকে মিয়ানমার বাসিন্দাদের বাংলাদেশে অব্যাহত প্রবেশে উদ্বিগ্ন ঢাকা।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মিয়ানমার বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখনও আমরা উদ্বেগ জানিয়ে সীমান্তে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে।’

উল্লেখ্য, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে তীব্র গোলাগুলির মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

১৭৭ জন বিজিপি সদস্যকে কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে, জানতে চাইলে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন,  ‘ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করা হয়েছে। ওই এসওপি’র অধীনে সে সময় ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবারও সেভাবেই পাঠানো হবে।’

বারবার প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সেটি অনুযায়ী— সীমান্তের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে মিয়ানমার বাহিনীর অন্তত ৩০০ জন সদস্য অবস্থান করছেন। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, তবে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আরাকান আর্মির চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে হবে।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে জামছড়ির ৪৫ নম্বর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে পার্শ্ববর্তী নুরুল আলমের চায়ের বাগানের অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে বিজিবি।