ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপজেলা নির্বাচনে চালানো যাবে প্রচারণা, তবে…

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় শিথিলতা আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী চাইলে অন্যান্য সময়ের মতো তফসিল ঘোষণার পরও জনসংযোগ চালাতে পারবেন। এছাড়া এবার প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী বা তার কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রচারণা চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইডি ও ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।

এমন বিধান যুক্ত করে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সংশোধিত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

সংশোধিত বিধিতে ‘জনসংযোগ’ এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, জনসংযোগ অর্থ হচ্ছে— উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদ্দেশ্যে কোনও প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ, সাক্ষাৎ বা পরিচিত হওয়া।

আগের বিধিতে নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর কেবল নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সংশোধিত বিধিতে বলা হয়েছে— কোনও প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনও রাজনৈতিক দল, অন্য কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার ব্যতীত, অন্য কোনও প্রকারের নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে চাইলে প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ ও ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা করা যাবে। অবশ্য ৫৮ জনের বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। জনসংযোগকে কোনোভাবে পথসভা, মিছিল বা জনসভায় রূপান্তর করা যাবে না।

আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী বা তার নির্বাচনি এজেন্ট বা অন্য কোনও ব্যক্তি ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করতে পারবেন। তবে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে।

আগের বিধিতে ব্যানার তৈরিতে রেক্সিন ব্যবহারের সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার রেক্সিন ব্যবহারের সুযোগ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারপত্র বা পোস্টার বা লিফলেটে পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) ব্যবহার করা যাবে না বলে নতুন বিধানে যুক্ত হয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত মাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও তার অধীনে প্রণীত বিধির বিধানাবলি সাপেক্ষে— নির্বাচনি প্রচার কার্যে ব্যবহৃত মাইক বা শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মানমাত্রা ৬০ ডেসিবলের অতিরিক্ত হতে পারবে না।