রুমা ও থানচিতে ব্যাংক লুটের ঘটনায় কুকি চিন জড়িত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানের রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুটের ঘটনায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে জঙ্গিগোষ্ঠী জড়িত বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। এ নিয়ে সরকার সব কিছুই করবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুক -চিন একটি জঙ্গি গোষ্ঠী। কুকি চিনের তৎপরতা ইদানিং বেড়েছে। বিজিবি-পুলিশ অপারেশন চালাচ্ছে। গোলাগুলি চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশের আইজির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে রয়েছে। ব্যাংক লুট করে চলে যাওয়ার পর পুলিশ ও বিজিবি সেখানে অপারেশন চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী সদস্যরাও সেখানে যোগ দেবে।’

তিনি আরও জানান, আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। সব তথ্যই আপাতত প্রাথমিক। খতিয়ে দেখাসহ প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার যা করার তাই করবে। মন্ত্রী বলেন, ‘মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শুনলাম, পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির একটা চেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে যা তথ্য আসছে কুকি চীন যে গ্রুপটি রয়েছে, যারা আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে, জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে। ইদানিং কুকি চীন আবার বিভিন্নভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রুমার যে ঘটনাটি আমরা এ পর্যন্ত শুনেছি, আমাদের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করছেন। রুমাতে সোনালী ব্যাংকে ঢোকার আগে বৈদ্যুতিক যে সাবস্টেশন ছিল— সেটাকে বন্ধ করে তারা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ ও ব্যাংকের ম্যানেজার সবাই তারাবি নামাজে ছিলেন। সেই সময় তারা ঢুকে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে দুটি এসএমজিও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করে। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসারদের শটগানগুলোও নিয়ে নেয় তারা।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডাকাতরা সোনালী ব্যাংকের একটা ভল্ট ভেঙেছে। আরেকটা ভাঙতে পারেনি। কত টাকা নিয়েছে, সেটা এখনও জানা যায়নি।’

আরও পড়ুন:

এবার থানচির দুই ব্যাংকে সন্ত্রাসীদের হানা