বর্জনকারীদের ‘অনুসারীরাও’ ভোটে, সহিংসতার শঙ্কা দেখছে না ইসি

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার কোনও শঙ্কা দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এবারের উপজেলা ভোটে সহিংসতার কোনও আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তারা বলেছে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। অনেক দল অংশ নিচ্ছে দলীয় প্রতীক ছাড়া। সেক্ষেত্রে একই দলের একাধিক প্রার্থী যেমন রয়েছে, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু অনুসারীরা ভোটে অংশ নিচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বাড়িয়ে মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশন আশা করে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, হাকিমসহ যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে ঘিরে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং যথাযথভাবে নির্বাচনের ফলাফল পান।

আইনগতভাবে যে কোনও নাগরিক ভোটে অংশ নিতে পারবে উল্লখ করে সচিব জানান, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের জনপ্রতিনিধিদের স্বজনদের অনেককে বারণ করেছে। এটা আইন নয়, দলীয় সিদ্ধান্ত। আইনগতভাবে যে কোনও নাগরিক প্রার্থী হতে পারবেন। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে ইসির সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক করে দেখার সুযোগ নেই। আমরা চাই, অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। যত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসবে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে। আইনশৃঙ্খলা, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ইসি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

এবার চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রথম দফায় আগামী ৮ মে ১৫০টিতে, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। 

বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।