রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে গিয়ে বৈঠক করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক হলেও আলোচনায় স্থান পায়নি পাহাড়ের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি। এ বিষয়ে পাহাড়ে চলমান যৌথ বাহিনীর অভিযান বা অস্থিতিশীলতা নিয়ে বৈঠকে কোনও ধরণের আলোচনায় হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটি সভাপতি বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।

নিয়মানুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে কমিটির বৈঠক করতে স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়। কারণ কমিটি সদস্যদের যাতায়াতসহ সার্বিক ব্যয় সংসদ সচিবালয় বহন করে। গত ১৯ মার্চ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাস্তব পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝতে পাহাড়ের তিন জেলায় তিনটি সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে।

কমিটির এই বৈঠক সফল করতে বুধবার ঢাকা থেকে সংসদ সচিবালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাঙামাটি যান। কমিটির সদস্যদের মধ্যে কমিটি সভাপতি বীর বাহাদুর উ শৈ সিং ছাড়াও বৈঠকে মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটির এমপি দীপংকর তালুকদার, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি মো. মঈন উদ্দিন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ। ১০ সদস্যের এই কমিটির অন্যরা অংশ নেননি।

পাহাড়ে সম্প্রতি ‘কেএনএফ’ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে সেনা, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশও সম্পৃক্ত রয়েছে।

কিন্তু সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উ শৈ সিং মনে করেন, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এখতিয়ার। এখানে অনুমাননির্ভর কোনও সুপারিশ করার সুযোগ নেই। তাই এ নিয়ে কমিটিতে কোনও আলোচনা হয়নি। বিষয়টি বৈঠকের কার্যতালিকায় ছিল না বলে আলোচনা হয়নি বলে জানান।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি, তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহ এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।