অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য কাজ করছে দুই দেশের সরকার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্যও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া বলে জানিয়েছেন ওই দেশের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২৬ বছরের মধ্যে এটিই প্রথম কোনও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর। সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখানে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী অঞ্চল নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য অংশীদারকে নিয়ে কাজ করার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সংকল্পবদ্ধ।’

আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করছি। বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাড়তি সহায়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য সহায়তা দেবে বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ছবি: পিআইডিসমুদ্র নিরাপত্তা

উভয় দেশেরই অবস্থান ভারত মহাসাগরে এবং সমুদ্র নিরাপত্তা দুই দেশের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী জানান, সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের কোস্টগার্ডের মধ্যে গভীর সম্পর্ক চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আমি বলেছি যে অস্ট্রেলিয়ার কোস্টগার্ড প্রধান বাংলাদেশের কোস্টগার্ড প্রধানের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা সফর করবেন। আমাদের মধ্যে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা হতে পারে। আমরা বুঝি যে এটি উভয়পক্ষের জন্যই চ্যালেঞ্জ। এজন্য এ অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ৪০০ কোটি ডলার এবং গত ১০ দশ বছরের মধ্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক-কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পায় এবং অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে গেলেও ওই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।’

দুই দেশের মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, মানবপাচার, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন কাজ বা পড়াশোনা করছে। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি।