ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত ছিলেন ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত পিয়াস

ডাকাতিঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন পিয়াস (২৬)। তিনি চট্টগ্রামে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তিনি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানিয়েছে ডিবি। পিয়াস বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে খিদমাহ হাসপাতালের অদূরে পিয়াস ডিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ডিবির দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালিদ বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল জেএমবির একটি গ্রুপ গোপনে খিলগাঁও এলাকায় বৈঠক করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় ডিবি-দক্ষিণের একটি টিম। ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে ডিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক জঙ্গিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অপর জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিরি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে জানতে পেরেছি তার নাম পিয়াস। তিনি চট্টগ্রামের ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত ছিলেন। ওই সময় বোমার আঘাতে তিনি আহত হয়। তার পিঠে স্প্লিন্টার ছিল। যার কারণে পিঠে তার পচন ধরেছিল। তিনি গোপনে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিতেন।’
মাশরুকুর রহমান বলেন, ‘তাকে অনেকদিন ধরে আমরা খুঁজচ্ছিলাম। তার শরীরে আগের স্প্লিন্টারের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি জেএমবির বোমা প্রস্তুতকারী। তিনি জেএমবি সদস্য নোমান ও হিরণের গ্রুপের সদস্য ছিলেন।’

পিয়াস সদস্য সংগ্রহের কাজও করেছেন বলে জানান তিনি। ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় তার বাসা। তবে সেখানে তিনি থাকতেন না।

নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান মাশরুকুর।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমডি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।’

/এআরআর/এফএস/