বায়ুদূষণ অ্যাজমা রোগী বাড়াচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

বায়ুদূষণের কারণে দেশে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি হলে সঙ্গত কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু দেশে বায়ুদূষণ বেশি সেক্ষেত্রে অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস্বার্থে বায়ুদূষণ শূন্যের কোটায় আনার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জারি করা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২-এর আলোকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে গঠিত বায়ুদূষণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি বায়ুদূষণরোধে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

দেশে ছয় হাজার ৮৭৬ ইটভাটা

সরকার দলীয় এমপি ননী গোপাল মণ্ডলের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে ছয় হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দুই হাজার ৩৩৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। যাতে চার হাজার ৪৩৬ মামলা দায়ের করে ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একশ ১১ কোটি ৫০ লাখ ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করাসহ এক হাজার ১৮০টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।’

স্বতন্ত্র এমপি তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, এলাকাভিত্তিক প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ার কারণে যে কোনও সময় সমস্যা হয়। তবে সারা দেশেই অনলাইন সিস্টেম চালু রয়েছে। নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন ভূমিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে শক্তিশালী সার্ভার স্থাপনসহ ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য বিসিসি’র সঙ্গে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ জানান, সারা দেশে ‘ক’ তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৩১০টি মামলা দায়ের করা হয়। যার ৩৩ হাজার ৮৯২টির রায় ঘোষিত হয়েছে। যাতে ১৪ হাজার ৭১৪ মামলায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে রায় হয়েছে। সেখানে সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার একশত ১৫ দশমিক ৯১ একর।

তিনি বলেন, বাতিল করা ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাবি করে চার লাখ ১৫ হাজার ৩৯৮ নামজারির আবেদন দাখিল করা হয়। তাদের পক্ষে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮৪১ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যাতে ভুক্তভোগীর কাছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ২০৭ দশমিক ০৭ একর।