পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে, তাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নাই। যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দুষ্কৃতকারী। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে "অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সরকারের কাছে অনেক অভিযোগ আছে এবং পাহাড়ে চাঁদাবাজি চলছে বলেও জানা গেছে। যারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনি কাঠামোর আওতায় ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মূল ধারার রাজনীতির সাথে সাথে বেশ কিছু আঞ্চলিক সংগঠনও রয়েছে। সকল আঞ্চলিক সংগঠনকে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সাজেকে এসে ট্যুরিস্টরা আটকে যাচ্ছেন, তা কারও জন্য সুখকর নয়। কারণ পর্যটকরা পার্বত্য এলাকার না। এধরণের সহিংসতা বন্ধ না হলে পার্বত্য এলাকায় আগত ট্যুরিস্টরা বিকল্প পথ চিন্তা করতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পর্যটকরা যাতে পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণ করতে পারেন এ বিষয়ে ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান খান জানান, দীঘিনালা উপজেলায় সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৬টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল ও নগদ ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা ও ভাঙচুর করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা হারে মোট ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।