অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতদের রদবদল প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আওতায় বিভিন্ন দূতাবাসে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যেসব দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতদের সরকারি চাকরির মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে, সেখানেও রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ২০টি দূতাবাসে রদবদল হতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে দুটি নিয়োগ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ওআইসিতে স্থায়ী প্রতিনিধি প্রেরণ। অন্যান্য মিশনেও রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘পররাষ্ট্র ক্যাডার থেকেই দূতাবাসগুলোতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। অল্প কয়েকটি দূতাবাসে বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
কোথায় কে যাচ্ছেন
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূত রদবদলের ক্ষেত্রে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৫ ব্যাচ, ১৭ ব্যাচ, ১৮ ব্যাচ, ২০ ব্যাচ এবং ২১ ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া দুটি দূতাবাসে পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাইরে থেকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৭ ব্যাচের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন নোমানকে ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি এবং পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা এম জে এইচ জাবেদকে ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ব্যাচের যেসব কর্মকর্তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে, তারা হচ্ছেন— পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা: যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য ও জাপান দূতাবাস।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৭ ব্যাচের কর্মকর্তা: সৌদি আরব, জার্মানি, রোমানিয়া, ব্রাজিল, ওমান দূতাবাস।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের কর্মকর্তা: সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর ও নেপাল দূতাবাস।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা: বাহরাইন এবং অস্ট্রিয়া দূতাবাস।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা: ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া এবং বেলজিয়াম দূতাবাস।
এছাড়া মেক্সিকো ও পর্তুগালে পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাইরের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হতে পারে।