মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মল চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উৎসবটি আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন,সংস্কৃতি আমাদের শক্তি, বাঙালিরা সব সময় সংস্কৃতিমনস্ক। সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি ভাষা আন্দোলন,স্বাধীনতা আন্দোলনসহ অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। বাঙালিদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের বিভিন্ন বৈষম্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈষম্য ছিল অন্যতম। যে কারণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির রক্ষা, চর্চা ও বিকাশের কথা বলেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য বাসন্তী শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপরই শুরু হয় বসন্ত উৎসবের মূল কার্যক্রম। উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিরাজ করে সাজ সাজ রব। গ্রামীণ আবহে সাজানো হয় পুরো মল চত্বরকে, বসেছিল গ্রামীণ মেলাও।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জাঁকজমকপূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা পরিবেশনার পাশাপাশি ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, গম্ভীরা, গীতিনাট্য, নকশী কাঁথার মাঠের মঞ্চায়ন, মঞ্চনাটক, পুঁথি পাঠ, আবৃত্তিসহ আয়োজন ছিল নানান ধরণের লোকজ সংস্কৃতির।
গ্রামীণ মেলার আবহ আনতে মেলায় হাওয়াই মিঠাই, নানা ধরনের পিঠা, নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, বানর খেলা, সাপের খেলা, মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র, মেয়েদের চুড়ি এবং মেহেদি কর্ণার খোলা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। যেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, জলের গান ও কিরণ চন্দ্র রায়।
বসন্ত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রধান ব্র্যান্ড কর্মকর্তা সলিমউল্লাহ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ওয়াসেক সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক আহসান রনি প্রমুখ।
এসআর/এসএনএইচ/এনএস/এমএসএম