তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জোহা নিখোঁজ!

থানায় থানায় ঘুরছেন জোহার স্বজনরা

তানভির হাসান জোহা
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ডলার চুরির বিষয়ে তদন্তে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভির হাসান জোহা নিখোঁজ রয়েছেন।  রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকা থেকে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে জিডি করতে থানায় থানায় ঘুরে ব্যর্থ হয়ে বাসায় বসে আছেন তারা।

জোহার পরিচিতরা জানান, বুধবার (১৬ মার্চ) অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় রাত ১২টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। এর আগে দুইদিন তিনি বাসায় ফেরেননি।

অফিস থেকে বের হওয়ার পর সিএনজিতে ওঠেন জোহা। কচুক্ষেত এলাকায় দুই-তিনটি গাড়ি তার সিএনজিকে ঘিরে ধরে। এরপরই অপহৃত হন তিনি।

জোহার চাচা মাহবুবুল আলম (বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক উপমহাপরিচালক) জানান, বুধবার রাতে বাসায় ফেরার সময় জোহার সঙ্গে তার বন্ধু ছিলেন ইয়ামির আহমেদ। তিনিই ফোন করে জোহার অপহরণের ঘটনা জানান তার পরিবারকে। 

মাহবুবুল আলম আরও জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশকে জানাতে তারা কলাবাগান থানায় যান। পুলিশ জানায়, অপহরণের এলাকা কাফরুল থানা এলাকায়। সেখানে গেলে কাফরুল থানা পুলিশ তাদের ক্যান্টনমেন্ট থানায় পাঠায়। সেখান থেকে পুলিশ আবার তাদের পাঠায় ভাসানটেক থানায়। তবে ভাসানটেক থানা পুলিশও দাবি করে এই ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়ে না। হতাশ হয়ে জোহার স্বজনরা বাসায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। 

উল্লেখ্য তানভির হাসান জোহা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে’র ডিরেক্টর (অপারেশন)। তবে এই প্রকল্পটি গত দুই মাস ধরে স্থগিত আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিভার্জ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ডলার সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তদন্তের কাজে  তাকে নেওয়া।

 

সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি নিয়ে প্রকৃত তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করায় একটি মহল আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আমন্ত্রণে আমি জঙ্গি তৎপরতাসহ সাইবার অপরাধের বড় বড় ঘটনা তদন্তে সহায়তা করেছি। তখন কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন একটি মহলের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।’

/জেইউ/এফএস/