ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল সুন্দরবনে

ইউনেস্কোজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর একটি প্রতিনিধিদল বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন পরিদর্শনে এসেছে। বুধবার সুন্দরবনে আসা দলটি তিনদিন বন এবং বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবে।
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ সরকার এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশে কোনও ক্ষতি হবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ওই প্রতিনিধিদলটি সুন্দরবন পরিদর্শনে এসেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার প্রতিনিধিদল সুন্দরবনের করমজলসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে দুপুরে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদলে ফ্রান্সের ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান ইউনিটের প্রকল্প কর্মকর্তা ফ্যানি এডোলফিন এম ডোভের, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ নওমি ক্লার, বিশ্ব ঐতিহ্যের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা (মনিটরিং অফিসার) মিজুকি মুরাই। এছাড়া, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
ইউনেস্কো দলের সঙ্গে আসা বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের নদ-নদীতে বিভিন্ন সময়ে জাহাজডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তারা। আগামী ২৫ মার্চ সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে  তারা ফিরে যাবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারী-কৈর্গদাসকাঠি মৌজায় এক হাজার ৭৩৪ একর জমির উপর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরপর এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা শুরু করে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে খবর প্রচার হয়। ওই খবরের পরিপ্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আগমন।

এসএমএসআর/এমএসএম