কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাইওয়েতে কোনও ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে, চাঁদাবাজি কমিয়ে আনা। হাইওয়ে পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছে, রাস্তায় যাতে কোনও ধরনের চাঁদাবাজি না হয়। কোনও পয়েন্টে চাঁদাবাজি হলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। কোথায় চাঁদাবাজি হয় সেটা জানানোর জন্য সাংবাদিকদের কাছেও অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীরা যাতে ঈদের সময় নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারেন। রমজানের ঈদের চেয়ে এই ঈদে একটু পার্থক্য আছে। এই ঈদে একদিকে যাবে মানুষ, অন্যদিক থেকে গরুর ট্রাক আসতে থাকবে। এ জন্য বেশিরভাগ সময় রাস্তা ব্যস্ত থাকবে। সেটা নজরদারী করার জন্যেও হাইওয়ে পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ঈদের আগে পরিশোধ করে দিতে হবে মালিকদের। যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য, তাদের বেতন পরিশোধ করে দিতে হবে। তাদের বৈধ দাবি মালিকদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে। আর অবৈধ দাবি নিয়ে যদি রাস্তায় কেউ নামে তাদের সেটা করতে দেওয়া হবে না। অবৈধ কোনও দাবি কোনও অবস্থাতেই বরদাশত করা হবে না।
ঈদে গরুর হাট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির ঈদে টাকা-পয়সা ছিনতাই হয়। মলম ও অজ্ঞান পার্টি সক্রিয় থাকে। সে জন্য প্রতি গরুর হাটে মানুষের নিরাপত্তার জন্য আনসারের কমপক্ষে ১০০ সদস্য রাখতে হবে। যেন তারা হয়রানির শিকার না হন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে প্রচুর গবাদি পশু আছে। এ জন্য সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও ধরনের গবাদি পশু দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিজিবিও সতর্ক আছে। যাতে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কোনও গবাদি পশু না ঢুকতে পারে।