‘কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার’

সরকার আগামী তিন মাসের জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। রবিবার (২৫ মে) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চামড়ার দাম নির্ধারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনাসহ তিন মাসের জন্য কাঁচা চামড়া এবং ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ১০ দিনের আগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ঈদের পর অন্তত ১৫ দিন পর্যন্ত কাঁচা চামড়া স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সবাইকে তড়িঘড়ি করে চামড়া বিক্রি না করে চামড়া সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির ঈদে সুষ্ঠু চামড়া ব্যবস্থাপনা ও পশু পরিবহনে সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের হেল্পলাইন- ৯৯৯ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও বিশেষ কন্ট্রোল সেলের ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, এ বছর গরুর লবণযুক্ত প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ দাম ঢাকায় হবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। তবে বড় গরুর চামড়ার দাম চাহিদা ও জোগান অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করতে পারবেন।

উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

এছাড়া সারা দেশে খাসির প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ থেকে ২৭ টাকা। এছাড়া বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা। গত বছরের তুলনায় এই দুই ধরনের চামড়ার দাম বর্গফুটে দুই টাকা বেড়েছে। গত বছর খাসির প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা, আর বকরির ১৮ থেকে ২০ টাকা।