জাপানের কাছে ১০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফরের সময় এ বিষয়ে একটি সমঝোতা হবে। এছাড়া ওই সফরে মোট সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ২৮ থেকে ৩১ মে জাপান সফর উপলেক্ষে সোমবার (২৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক কার্টেন রেইজার অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকালে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত খাতে সহযোগিতা বিষয়ক কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এছাড়া বাজেট সহায়তা এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ ডুয়ালগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণে একচেঞ্জ অব নোটস সই হবে বলেও প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।’
রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও আয়োজিত একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সেমিনারে অংশ নেবেন এবং বিশেষ বক্তৃতা দেবেন। অদূর ভবিষ্যতে জাপানের প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশ কীভাবে আরও দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারে সে বিষয়ে সেমিনারে আলোকপাত করা হবে। প্রায় ৩০০ এর বেশি অংশগ্রহণকারী এই সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন।’
বাজেট সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক নুর এ আলম বলেন, ‘আমরা ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি এবং জাপান কত দেবে সে বিষয়ে একটি মতৈক্য হয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমরা সংখ্যাটি বলতে পারছি না। সফর শেষে এটি ঘোষণা করা হবে এবং এক্সচেঞ্জ নোট সই হবে।’
শ্রম সহযোগিতা
জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা কমছে। কর্মক্ষম মানুষের চাহিদা জাপান বিদেশ থেকে পূরণ করছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা রয়েছে। এর পরিধি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিএমইটির সঙ্গে জাপানের দুটি বেসরকারি কোম্পানির সমঝোতা হবে। ওই কোম্পানি দুটি জাপানের ভাষা শিক্ষা এবং বিশেষায়িত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে কাজ করবে।
এ বিষয়ে মহাপরিচালক নুর এ আলম জানান, জাপান মোট ১৬টি খাতে লোক নিতে আগ্রহী এবং এ বিষয়ে তারা ভাষা ও নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দেবে। এর মধ্যে কেয়ারগিভার, হসপিটালিটিসহ অন্যান্য খাত রয়েছে।