কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিদেশে গেলে অনেকেই বলে অথবা পত্রিকায় দেখি বিদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সব দোষ করা হয়— সরকারের, রিক্রুটিং এজেন্সির, এই দোষ ওই দোষ! কিন্তু ওইখানে যারা আছেন তাদের কারও কারও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনারা জানেন? বাহরাইনে লোক পাঠানো বন্ধ হয়েছে, কারণ মালিকের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের যে বদনাম, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে আমি মিটিং করেছি। আমি শুনেছি ওখানে প্রতিনিয়ত ঘোষণা দিয়ে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মারামারি করে। সৌদি আরবে একটা জায়গা আছে যেই জায়গায় বাঙালিদের থেকে টাকা ছিনতাই, লুট করার জন্য বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, এমন ঘটনাও আছে। এগুলো কি মিথ্যা কথা? ওই জায়গার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় না কেন জানতে চাইলে বলে, সে জায়গায় দোষী-নির্দোষ যারাই আছে সবাইকে বের করে দেবে। এ জন্য কাটা হাত নিয়ে আমরা অপেক্ষা করি।

তিনি বলেন,  এখন এই কাজগুলো কয়জন করে। এই বাজে কাজগুলো করে ১০ জন, ভোগে ১০ হাজার লোক, ১০ লাখ লোক। সৌদি আরবে যদি ১০ হাজার লোক অত্যন্ত সুন্দরভাবে নিয়ম মেনে কাজ করে, আর যদি ১০টা লোক রাস্তাঘাটে মারামারি করে, একটা মার্ডার করে, তাহলে ১০ হাজার লোকের ভালো কাজ কেউ দেখবে না। আমাদের প্রবাসী ভাইদের সচেতন হতে হবে। কারণ এসব ঘটনা এক লাখ, ১০ লাখ লোকের জীবন বিপন্ন করে দিচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিচ্ছে মাত্র ১০-২০টা লোক।

বিমানের টিকিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ওমরা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে হঠাৎ একজন ভিডিও করতে করতে বললেন, বিমানের টিকিটের এত দাম, আবার উনি (উপদেষ্টা) এসেছেন ওমরা করতে।

তিনি বলেন, বিমানের টিকিট আমার মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে পড়ে না। তবু দেশে ফিরে আমি বিষয়টা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাই। পরদিনই প্রধান উপদেষ্টা মিটিং ডেকে বিমানের টিকিটের দাম কমানোর ব্যবস্থা করেন।

উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দেন, সর্বোচ্চ তিন দিন বুক রাখা যাবে টিকিট। এর মধ্যে না কিনলে বুকিং বাতিল হয়ে যাবে। বুকিং দিতে পাসপোর্টের কপি লাগবে। এমন নির্দেশনার পর দাম কমে যায়। পরে আবারও অসাধু চক্র দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।