এবার পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সর্বাত্মক শক্তি নিয়োগ করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোয় প্রশ্নপত্র পরিবহনে অধিকতর সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার আগের রাতে এসব চক্রের তৎপরতা রোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্যই এবার জেলা প্রশাসকদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে চিঠিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে আগের চেয়ে বেশি সতর্ক সরকার। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র সক্রিয় থাকে। এই চক্রকে ধরতে মাঠে থাকবে গোয়েন্দারা। অন্যদিকে বাড়তি নজর রাখা হবে ফেসবুকেও।
অভিযোগ আছে,অনেক ভুয়া চক্র প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে প্রশ্নপত্রের নামে ভুয়া প্রশ্নের বাণিজ্য শুরু হয় জেলা শহরের ফটোকপির দোকান আর কোচিং সেন্টারগুলোয়। এ ধরণের ঘটনা যেন না ঘটে, সে দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে।
ছাপা, পরিবহন ও অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িতদের ছাড়াও বড় বড় কোচিং সেন্টারগুলোকেও গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে বলা আছে এবং গোয়েন্দাসংস্থাগুলোও বিশেষ নজরদারি করছে।
তিনি আরও বলেন,কঠোর গোপনীতায় এবার জেলায় জেলায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য,এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গত বছর এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪১ জন। এইচএসসিতে এবার প্রথমবারের মতো বহুনির্বাচনী অংশের পরীক্ষা আগে হবে। সময় থাকছে ৫০ মিনিট। ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে পরের দু’ঘণ্টায় নেওয়া হবে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা।
/আরএআর/ এপিএইচ/