অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত এনে কর্মসংস্থানে সহায়তা দিতে রাজি ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়নইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করার জন্য সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈশ্বিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান লেফলারের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ-ইউরোপীয় অভিবাসন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে ক্রিশ্চিয়ান লেফলার সাংবাদিকদের বলেন, গোটা অভিবাসন বিষয়টিকে সামগ্রিক দৃষ্ঠিকোন থেকে দেখতে হবে, যাতে বৈধ পথে যারা যাচ্ছে তাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা যায় এবং অবৈধভাবে যারা যাচ্ছে তাদের যেন বাধা প্রদান করা হয়।
শহীদুল হক বলেন, আমরা জানি ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বাংলাদেশিরা আছে। তাদেরকে কিভাবে নিরাপদে দেশে ফেরত আনা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য উভয়পক্ষ বাংলাদেশ ও ইউরোপের অভিবাসন নিয়ে নিয়মিতভাবে একটি কাঠামোর অধীনে সংলাপ অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছি। পৃথিবীতে একটি সাধারণ মতৈক্য আছে যে, অভিবাসন উন্নয়নের একটি হাতিয়ার এবং বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করতে ইইউ রাজি হয়েছে।

তিনি জানান, আমরা চিন্তা করছি- বড় একটি রাজনৈতিক ডিক্লেরেশন করা যায় কিনা, যাতে আমাদের লোকজন বৈধভাবে বেশি করে সেখানে যেতে পারে। অভিবাসনের অন্ধকার দিক হচ্ছে অবৈধ অভিবাসন এবং এদের ফিরিয়ে আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাদের যতটা নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায় তত ভালো এবং এরপর একটি জীবিকার ব্যবস্থা করা গেলে সেটি সবচেয়ে ভালো। কারণ অবৈধ অভিবাসনের কারণে তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে ইইউ এবং তারা সরকারের সঙ্গে আবার আলোচনা করবে। আর এটি হতে পারে- ব্যবসায়িক সহায়তা, প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা উন্নয়ন সহায়তা। এছাড়া বৈধপথে যাওয়ার সময়ে বিশেষ করে ছাত্রদের ভিসা পেতে যে সমস্যা হয় সেটির সমাধানের বিষয়টিও তারা দেখবেন। এ বছরের শেষ দিকে অথবা সামনের বছরের প্রথমে আবার রাজনৈতিক লেভেলে অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হবে বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন।

এদিকে ক্রিশ্চিয়ান লেফলার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এবং তাদেরকে সমাজে কিভাবে একীভূত করা যায় সে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

ইউরোপে প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস সংক্রান্ত মিডিয়া রিপোর্টের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন- আমি জানি না মিডিয়া কোথা থেকে এ সংখ্যাটি পেল কিন্তু অবশ্যই এটি আমি বলিনি। তবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশিরাও ইউরোপে অবৈধভাবে বসবাস করছে।

রি-অ্যাডমিশন চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি কিভাবে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থাপনায় করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

/এসএসজেড/এএইচ/