বিমানবন্দরের নিরাপত্তা

যুক্তরাষ্ট্রের কমিটি গঠনের প্রস্তাবে রাজি সরকার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরযুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এ্যালান বার্সিন গত মাসে ঢাকায় এসে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে সহযোগিতা করার বিষয়ে সরকারের একাধিক সংস্থা ও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় এক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং তারা কমিটি গঠনের বিষয়ে সম্মত হন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দুটি কমিটি গঠন করার বিষয়ে নীতিগতভাবে আমরা সম্মত আছি এবং আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, এ নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ কয়েকটি দেশ জড়িত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করার পরে এ কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বার্নিকাট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপান বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।  আমরা কি অর্জন করতে চাই, সবাই মিলে একসঙ্গে বসে সেটির একটি তালিকা করার এখন সময় এসেছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিমানবন্দরের জন্য একটি সেফটি কমিটি এবং অপরটি সিকিউরিটি কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে এ কমিটিগুলো গঠন করা, যাতে করে সকলে একসঙ্গে বসে ঠিক করতে পারে, তাদের কি কি করতে হবে।

কমিটি গঠনের ধরণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি ওয়ার্কিং লেভেলে হবে, যেখানে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এর সদস্য থাকবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একগুচ্ছ চুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ১২টি চুক্তি প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে, যাতে করে দুইদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

বুধবার সকালে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে এবং বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিবের সাথে দেখা করেন।

বার্নিকাট বলেন, এ প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  আমাদের দূতাবাস থেকে  নতুন প্রস্তাবগুলো পেয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে আমরা আজকে (বুধবার) সবাই মিলে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, দূতাবাসের করণীয় কি হবে, সেটি আমরা শীঘ্রই তাদের জানিয়ে দেব, যাতে করে তারা মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

তিনি জানান, এর মধ্যে কয়েকটি চুক্তির আলোচনা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা সম্ভব এবং কয়েকটির জন্য বেশি সময় লাগবে।

এপিএইচ/