নাজিমুদ্দিনের মরদেহ মর্গে রাখা নিয়ে টানাপড়েন

নাজিমুদ্দিন সামাদজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক নাজিমুদ্দিন সামাদের ময়না তদন্তের পর মরদেহ মর্গে রাখা নিয়ে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল হাসপাতালে ময়না তদন্ত হলেও ফ্রিজ নষ্ট থাকায় সেখানে মরদেহ রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মর্গ সহকারী।
মর্গ সহকারী শ্যামল জানান, হাসপাতালের ফ্রিজ নষ্ট থাকায় মরদেহ মর্গে রাখা সম্ভব নয়। সন্ধ্যার আগেই মরদেহ নিয়ে যেতে হবে।
এদিকে নিহত নাজিমুদ্দিনের লাশ গ্রহণ করার মতো কেউ নেই ঢাকায়। পরিবারের অন্য সব সদস্য বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ঢাকায় আসতে তাদের সময় লাগছে।
জানা গেছে, নাজিমুদ্দিনরা পাঁচ ভাই। বাবা ও বড় ভাই মারা গেছেন। বাকি তিন ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
বুধবার রাত ৯টার দিকে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্র ও গুলিতে নিহত হন নাজিমুদ্দিন। পুরান ঢাকার সুত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাজিমুউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম ‘বি’ সেকশনের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায়। তিনি সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন।

নিহতের ভাতিজা সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাচা মারা যাওয়ার খবর জানতে পেরে রাতেই আমি ঢাকায় চলে আসি। কিন্তু আমি তো মরদেহ গ্রহণ করার কেউ না। আমার চাচারা লন্ডন থেকে আসতে আসতে আজ রাত দশটা বাজতে পারে। কিন্তু এ সময় পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখাও যাচ্ছে না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য কোথাও রাখা যায় কি না।’

নাজিমুদ্দিন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু জানি, চাচা ঢাকায় পড়াশোনা করেন। এছাড়া আর কিছু করতেন কিনা জানা নেই।’

এদিকে সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন সাহা বলেন, ‘নাজিমুদ্দিনের ভাতিজা যদি মরদেহ গ্রহণ করতে চান, তাহলে আমরা তার কাছে হস্তান্তর করতে পারি। তবে অন্য কোথাও রাখা যায় কি না সে চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি। দু’এক দিন সময় লাগবে।’

তবে মর্গ সহকারী সূত্রে জানা গেছে, নাজিমুদ্দিনের মাথার বাম পাশে একটি গুলি এবং ডান পাশে একটি চাপাতির কোপ রয়েছে।

/আরএআর/এজে/