আগের দুটি ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের পর্যবেক্ষণকে ‘রসিকতা’ বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার কোনও আগ্রহ এই কমিশনের নেই। তিনি যা বলছেন এবং করছেন, তা তার চাকরি বাঁচানোর জন্য।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৪৮ জেলার ৬২০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে শনিবার। এ ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে দুই হাজার ৬৭২ জন। সাধারণ সদস্য পদে ২০ হাজার ৯৪৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ছয় হাজার ২৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।
ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রথম দুই দফার তুলনায় এবার নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছি বিভিন্ন জায়গার ভোটারদের, বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ভোট গ্রহণের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার কোনও ঘটনা ঘটেনি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৬৪ জনকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুজনকে এক মাসের ও একজনকে ২০ দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন তা রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। মূলত তিনি তার শিক্ষা-দীক্ষা, নীতি-নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তিনি যা বলছেন তা চাকরি বাঁচানোর জন্য।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার ভোট, গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে পদদলিত করেছে। আর এই কাজে সহযোগিতা করেছে নির্বাচন কমিশন। আসলে কেউ যদি নির্লজ্জ হয় তাহলে তারা জনগণের তোয়াক্কা করেনা।’
আরও পড়ুন:
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুর উর রশিদ, আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসটিএস/এপিএইচ/