মানবতাবিরোধী অপরাধ

শামসুদ্দিনসহ ৫ জনের আজ রায়

মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালমুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ  মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের এ রায় ঘোষণা করার কথা। ট্রাইব্যুনালের অপর  দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো.সোহরাওয়ার্দী।
মামলার অপর চার আসামি হলেন শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান,আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন।
গত ১১ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। শামসুদ্দিন আহমেদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। বাকিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুক্কুর খান শুনানি করেন। আরও পড়তে পারেন: বাসভাড়া তিন পয়সা কমাতে চায় বিআরটিএ, মালিকদের প্রস্তাব দুই পয়সা
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেরগুপ বিল, পীরাতন বিল ও আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৪০ জন সাক্ষী।
২০১৫ সালের ১৩ মে ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
এর আগে, শামসুদ্দিন বাদে ৪ জনকে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মামলায় তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনকে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  আদালতে হাজির করার সময় তার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।


অারও পড়তে পারেন: টিআইবির ট্রাস্টি ও শীর্ষ কর্মকর্তারা যেভাবে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন
মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছেলে গোলাপ মিয়া বাদি হয়ে ২০১০ সালের ২ মে মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৩ সালের ৬ জুন ও শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। মোট ১ বছর ৫ মাস ১৮ দিন তদন্ত শেষে ৪টি ভলিউমে ৪৫০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তদন্ত চলাকালে এলাকার মোট ৬০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

/ইউআই/এমএসএম/