সারা দুনিয়ায় গণমাধ্যম অনলাইনে টার্ন নিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইন্ডিপেনডেন্ট, নিউজ উইকের মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধ হয়ে গেছে। চালু রয়েছে অনলাইন ভার্সন। এর কারণ হচ্ছে, প্রিন্ট ভার্সনের সার্কুলেশন কমে গেছে, আয় কমে গেছে। তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা চালু রাখবেন কেন। এ কারণে তারা নিউ মিডিয়ার দিকে ঝুঁকেছেন।
আমি টেলিভিশনের কোনও ভবিষ্যৎ দেখি না। আজ যেমন ঘরে ঘরে টেলিভিশন দেখা যায়, দেখা যায় পরিবারের সবাইকে দল বেঁধে টিভি দেখতে, এক সময় তা হয়ে যাবে ইতিহাস। হয়তো একটি বাসায় একটি টিভিই থাকবে, তাতে থাকবে ইন্টারনেট সংযোগ। স্মার্ট টিভি দিয়েই তখন কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। কারণ তখন সবাই সংবাদ জানার ও দেখার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করবেন।
সম্প্রতি দেখতে পাচ্ছি, দেশের অনেক বড় পত্রিকার প্রিন্ট সংখ্যার পাঠকের চেয়ে অনলাইনের পাঠক বেশি। তার অর্থ আমাদের দেশেও অনলাইন সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। অনলাইন ছাড়া কোনও গণমাধ্যম আগামী দিনে টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বব্যাপী অনলাইন গণমাধ্যমের রাজস্ব আয় বেড়েছে। রাজস্ব হলো অর্থনীতির সক্রিয় হাতিয়ার। অনলাইনের আয় বা রাজস্ব বাড়ায় অর্থনীতি শিফট হতে শুরু করেছে। আগামী দিনে অনলাইনে রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়বে।
আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম। সারাদেশে আমরা এখনও ব্যান্ডউইথ পৌঁছাতে পারিনি। তাই অনলাইনগুলোকে টিকে থাকতে হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং সবাইকে সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে।
লেখক: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্বআরও পড়ুন:
এপিএইচ/