পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান জানান, বেফাক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আশ্রাফ আলী ও মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার।
তারা বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছি। দেশব্যাপী কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকগণ সন্ত্রাস ও মাদকের অপব্যবহার বিষয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরছেন। ইসলামের শান্তির বার্তা মানুষের নিকট পৌঁছে দিচ্ছেন। তারা এসব ক্ষেত্রে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা এবং পুলিশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে আইজিপিকে আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দল জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, খসড়া শিক্ষা আইন ২০১৬ এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রধানকে অবহিত করেন। তারা পাঠ্যপুস্তক থেকে এ বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার বিষয়ে আইজিপির সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় আইজিপি তাদের উদ্দেশে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে হত্যা, খুন বা উগ্রবাদের কোনও স্থান নেই। তিনি জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমনে বেফাক নেতৃবৃন্দের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ইসলামবিরোধী প্রচারণা বন্ধে বেফাক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা ও আচরণ আশা করেন আইজিপি।
সাক্ষাতকালে বেফাকের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
‘স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়া হয়েছে’
হাসিনা হাত বাড়ালেন, এবার পালা মমতার
আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
/জেইউ/ এপিএইচ/