ডিসিসিআই নেতারা মনে করেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপি-র ২৭ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এছাড়াও দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগের বর্তমান হারকে বাড়ানোর জন্য অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, জ্বালানী, বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের পাশপাশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালার সংস্কার একান্ত আবশ্যক বলেও তারা উল্লেখ করেন।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৫.২ শতাংশ কম। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরকারকে বিদ্যুৎখাতে আমদানি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসকৃত মূল্যে সরবরাহ করার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ডিসিসিআই এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
বাজেটে সহজে আদায় যোগ্য ভ্যাট থেকে এককভাবে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ের পরোক্ষ করের বোঝা সকল ভোক্তার ওপর পড়বে। কারণ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) থেকে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ট্যাক্স (শুল্ক) থেকে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এতে করে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলে ডিসিসিআই মনে করে।
ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ পর্যাপ্ত হলেও এ প্রকল্পগুলোর বস্তবায়নে আরও মনোযোগী ও সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও নতুন নতুন গ্যাস কূপ খননের পাশাপাশি এলএনজি র্টামিনাল স্থাপনের কাজ অতি দ্রুত বস্তবায়ন করা দরকার বলেও তারা মনে করেন।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বরাদ্দ ৬৮০ কোটি টাকা
/জিএম/এসএ/এপিএইচ/