অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় ওষুধ উৎপাদনে যে সুযোগ সরকার করে দিয়েছে, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তার খানিকটা অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে উৎপাদিত ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণেরও দাবি উঠেছে। আমরা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছি এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
সরকার স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন বিষয়ক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতায় নতুন সেক্টর কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে ধারণাপত্র প্রণয়ন এবং কৌশলগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসাবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি, আয়কর ও মুনাফার ওপর কর থেকে ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি, আমদানি শুল্ক থেকে ২২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৩০ হাজার ৭৫ টাকা, রফতানি শুল্ক থেকে ৪৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৪ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। ঘাটতির এই পরিমাণ মোট জিডিপির ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে
/জেএ/এসএ/এপিএইচ/