জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর থানা পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলে কল্যাণপুরের মেস বাসায় জঙ্গিবিরোধী তল্লাশী শুরু করেন। কল্যাণপুরের ৬ নম্বর রোড থেকে তল্লাশী শুরু হয়। কয়েকটি মেসে অভিযান চালিয়ে তারা ৫ নম্বর রোডে আসেন। এই রোডে জাহাজ বিল্ডিং খ্যাত ৫ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
ভবনটির দোতলায় বাড়িওয়ালা থাকেন। তৃতীয় তলায় ফ্যামিলি ও ব্যাচেলররা থাকেন। ৪র্থ ও পঞ্চম তলায় চারটি করে ইউনিটের প্রত্যেকটাই মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া।
জানা যায়, পুলিশ যখন তৃতীয় তলায় উঠে তখন পঞ্চম তলা থেকে জঙ্গিরা আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে প্রতিরোধ শুরু করে। তারা গুলি ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পুলিশও এসময় পাল্টা গুলি চালায়। এতে একজন সন্দেহভাজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হন। জঙ্গিদের আরেকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
আটক জঙ্গির বরাত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেসে ওরা ১১ জন থাকত। ভেতরে ভারী অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ রয়েছে। এখন ভেতরে আরও ৯ জন রয়েছে।ওই বাসার একজন ভাড়াটিয়ার নাম শাহীন। তিনি তার বাবা জহুর আলীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি জানান, পুলিশ ভবনের তিন তলায় অবস্থান নিয়েছে।
শাহীন আরও জানান, ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি জানতে পারেন তাদের ভবনে জঙ্গি অভিযান চলছে। তাদের ভবনের ৫ তলায় যে জঙ্গি রয়েছে তা তারা আগে জানতেন না।
এনএল/এমএসএম/