রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করা হবে: গয়েশ্বর

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সরকার রাজনৈতিকভাবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, তা রাজনৈতিকভাবেই প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ  (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সুন্দরবন: সর্বনাশের আরেক নাম রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাধরদের সন্তুষ্ট করার জন্য সরকার বন ও পরিবেশ ধ্বংসকারী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়। সরকার রাজনৈতিকভাবে যদি রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করতে চায়; তাহলে দেশের জনগণও এটাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবে।’
ফারাক্কা বাঁধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাসি-পিসিদের সন্তুষ্ট করতে সরকার বিভিন্ন সময়ে দেশ ধংসকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তেমনই একটি পদক্ষেপ ১৯৭৫ সালের ফারাক্কা চুক্তি। যার ফলে দেশ এখন মরুভূমিতে রূপান্তর হতে যাচ্ছে। এখন তাদের সন্তুষ্টির জন্যই আবার উন্নয়নের নামে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু ও দেশ ধংসের প্রকল্পে নেমেছে।
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে একটি পরিত্যক্ত প্রকল্প উল্লখ করে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে ভারতের কয়েকটি স্থান ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণের বাধার মুখে এটি সেখানে হয়নি। পরে শ্রীলঙ্কাতে যায়; সেখানেও হয়নি। এখন সুযোগ পেয়ে এটি বাংলাদেশে করার পরিকল্পনা করছে। এখানেও জনগণ এ প্রকল্প প্রতিহত করবে।’
পরিবেশবিদ আর পরিবেশবাদী এক নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘দেশে কিছু পরিবেশবাদী আছেন যাদের বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ফলে জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব পরিবেশবাদীরা এখন বিভিন্ন কৌশলে পেটপুরে নিয়ে রামপালের পক্ষ নিয়েছে। এরা প্রকৃতপক্ষে দেশের শত্রু।’

তিনি বলেন, ‘দেশে মেগা-মেগা প্রকল্প হচ্ছে, সেই সঙ্গে মেগা- মেগা দুর্নীতিও হচ্ছে। দিনে দিনে দেশ মহাঋণের মধ্যে পতিত হচ্ছে। রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতীয় ব্যাংক ৭০% ঋণ দেবে। এর মূল কারণ, বিশ্বের অন্য কোনও ব্যাংকতো এই ভয়ঙ্কর প্রজেক্টের জন্য ঋণ দেবে না। শুধু ভারতই দেবে।’

রামপাল বিষয়ক এ গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

আরএআর/  এপিএইচ/