ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৬

‘মঞ্চ যখন আমার’

 

মঞ্চ যখন আমার

সৃজনীশলতাকে আবদ্ধ করা যায় না নির্দিষ্ট কোন গণ্ডিতে।তবে আপাতদৃষ্টিতে সমাজ, ঐতিহ্য কিংবা রাজনীতির সময়ের রকমভেদে সৃজনশীলতার প্রকাশ ভঙ্গি যেমন প্রতিনিয়ত পেয়েছে নতুন রূপ এবং বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম। তার মধ্যে থিয়েটার অন্যতম। আর বাংলাদেশি থিয়েটার চর্চার একটি সাংগঠনিক রূপ বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন।

বাংলাদেশে নাট্যচর্চার একাল সেকাল নিয়ে ঢাকা লিট ফেস্ট্যিভ্যালের লনে বসেছিল বন্যা মির্জার সঞ্চালনায় সেশন ‘মঞ্চ যখন আমার’। এতে অংশ নেন বিশিষ্ট্য নাট্য অভিনেতা সারা যাকের, মিতা চৌধুরী ও সামিনা লুৎফা।

প্রথমে আলোচনায় আসে থিয়েটারের মালিকানা কি প্রসঙ্গে। থিয়েটার কি আদৌ অভিনয়ের জায়গা না কি রাষ্ট্র কিংবা ব্যক্তিগত অথবা কোন সংগঠনের নিজস্ব পরিসর?

এ সময় সারা যাকের বলেন, আমরা নাটক নিয়ে চিন্তা। আমরা নাটক ধারণ করি।আর বিশ্বাস করি নাটকের কোনও সীমানা নেই। সংস্কৃতিক ও ভাষা পার্থক্যের মধ্য দিয়ে নাটকের রকমভেদ করা হলেও নাটক যোগাযোগের একটি সার্বজনীন মাধ্যম।

এ সময় মিতা চৌধুরী তুলে ধরেন রেপাটরি থিয়েটারের সুবধিা। বাংলাদেশে চলমান নাট্যচর্চার বাইরে গিয়ে নাটককে আরো বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।সে প্রচেষ্টায় রেপাটরি থিয়েটার শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।অভিনয় পরিসর যেখানে সীমিত,দর্শক পর্যন্ত নাটক পৌঁছে দিতে যেহেতু হণ্যে হয়ে ঘুরতে হয় একটি তারিখ পেতে, সেখানে রেপাটরির মাধ্যমে যেকোন পরিসরের নাটক দর্শকের কাছে পৌঁছে দেবার সুবিধাটি থাকছে।

এসময় আলোচনায় আরও উঠে আসে বড় দল, ছোটদল, ক্ষমতাসীন দল একত্রে একসঙ্গে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত।এ সকল বৈষম্যের সমেত সংহতি কি করে সম্ভব?

এ প্রসঙ্গে সামিনা লুৎফা বলেন, এ সংহতি আসলেই সম্ভব নয়। কাজ করতে গিয়ে আমরা জানি কত অসুবিধার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়। এ সকল সংহতি বলাটা একটি রেটোরিক।

/এফএএন/