ঢাকা লিট ফেস্ট- ২০১৬

মুগ্ধতায় মসলিন

আদি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মসলিন এখন কিংবদন্তী হয়ে টিকে আছে। এর পুনরুজ্জীবনে চলছে গবেষণা, আলোচনা ও অনুসন্ধান। তেমনই একটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ মোড়ক উন্মোচিত হলো সম্পর্কিত একটি বই ‘মসলিন আওয়ার স্টোরি’ এর। সাইফুল ইসলাম রচিত এবং দৃক প্রকাশিত এ বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয় ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন সকালের সেশনে। ‘মসলিন মিস্ট্রি’ নামের এ সেশনে উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ফখরুল আলম, শহীদুল আলম ও রুবী গজনবী।

‘মসলিন মিস্টি’ সেশন

মসলিনের হারিয়ে যাওয়া এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সাহিত্য এবং রাজনীতিতে কীভাবে মসলিনকে উপস্থাপন করা হয়েছে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ফখরুল আলম বলেন,‘সাহিত্যে সেভাবে মসলিনের উল্লেখ নেই। নীলদর্পণ নাটকে যেমন নীল চাষের যে চিত্র আঁকা হয়েছে তেমন করে সাহিত্যে মসলিনের উপস্থিত নেই। তবে উপনিবেশ পরবর্তী রাজনীতিতে মসলিনের ব্যাপক আলোচনা আছে।’

বই সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বইয়ের জন্য গবেষণা করা সহজ ছিল না। এর জন্য বৃটিশ মিউজিয়াম থেকে শুরু করে ছুটতে হয়েছে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে। তাছাড়া বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি। তবে এর পেছনে আমার একার শ্রম নেই। তাঁতি থেকে শুরু করে বইটি সম্পাদনা করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এই বই।’

মসলিন নিয়ে অনেকদিন গবেষণা করেছেন রুবী গজনবী। মসলিনের পুনরুজ্জীবনের সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘মসলিনের মৌল কাঁচামাল এর তুলা গাছটি আজ আর পাওয়া যায় না। তাছাড়া দীর্ঘ অনভ্যাসে তাঁতিরাও হারিয়েছেন তাদের দক্ষতা।’ তবে মসলিন তৈরির যে তুলা গাছ তার কাছাকাছি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আলোচকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফয়সাল আহমেদ।  

 

/এনএ/