শর্তহীনভাবে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ রাখার দাবি

unnamed

মেয়েদের বিয়ের বয়স শর্তাহীনভাবে ১৮ বছর বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সুশীলরা ব্যক্তিরা। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানায় তারা।

বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, আমাদের সময় ডটকমের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া হক ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সঞ্চালনায় বৈঠকে পেপার উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

তিনি বলেন, ‘সরকার কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স শর্তসাপেক্ষে (বিশেষ বিধান) ১৬ বছর রেখে শিগগিরই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাশ করবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা মনে করি, আইনটি পাশ করা হলে তা হবে নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধক। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জন করা বাধাগ্রস্থ হবে।’

ঢাবি ওমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া কন্যাশিশুরা মানসম্মত শিক্ষা, পুষ্টি ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তারা অল্প বয়সে মা হতে গিয়ে মারা যায়। ফলে সরকার কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স ১৬ বছর করার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা অযৌক্তিক।’

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স শর্তসাপেক্ষে ১৬ রেখে আইন করতে চাইছে। শর্তে উল্লেখ করেছে, অভিভাবক চাইলে কন্যাকে ১৬ বছরে বিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু কথা হলো বিয়ে কি অভিভাবকের অমতে হয়? এটা সরকারে একধরনের হাস্যকর যুক্তি। আমরা চাই শর্ত ছাড়াই মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরেই বহাল রাখা।’

সুজনের সম্পাদক ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ১৮ বছরের নিচে কন্যাশিশুর বিয়ে বয়স করা লজ্জাজনক। আমরা এই লজ্জায় পড়তে চাই না।

 /আরএআর/এসটি/