জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ৩৮ চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী: সুজন

IMG_20170117_120701

জেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত ৫৯ চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৩৮ জনই ব্যবসায়ী। মামলা রয়েছে দুজনের নামে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

এসময় তিনি চেয়ারম্যানদের পেশা, মামলা, বাৎসরিক আয়, সম্পদের হিসাবের তথ্যও দেন।

চেয়ারম্যানদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্নাতক ডিগ্রি আছে ৩৪ জনের এবং স্নাতকোত্তর ১১ জন। এছাড়া এইচএসসি পাস করেছেন আটজন এবং এসএসসি পাস করেছেন মাত্র একজন চেয়ারম্যান। বাকি এক দশমিক ৬৯ শতাংশের তথ্য পাওয়া যায়নি।

পেশা সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, ৫৯ চেয়ারম্যানের মধ্যে কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন, ব্যবসায়ী ৩৮ জন, চাকরিজীবী পাঁচজন, আইনজীবী আটজন, অন্যান্য পেশায় আছেন পাঁচজন।

সভায় বদিউল আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে এ নির্বাচন নির্দলীয় হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে প্রার্থি দেয়। অন্য বড় কোনও রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী না দেওয়ায় এ নির্বাচন ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, অনেক সংসদ সদস্য টিআর, কাবিখা ও অর্থ বরাদ্দের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের কাছে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের এলাকা ছাড়ার আহ্বান জানানো হলেও তা উপেক্ষা করেই এলাকাতেই ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের হাতে শিশু নির্যাতনের হার বেড়েছে

/আরএআর/এসটি/