অতিরিক্ত বিচারপতি শিবলীর রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

হাইকোর্টহাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে অতিরিক্ত বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর রিট আবেদন পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, রিট আবেদনকারী চাইলে আপিল বিভাগে রিভিউ বা আপিল দায়ের করে যথাযথ প্রতিকার পেতে পারেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। আমি মনে করি, আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।’

এর আগে অতিরিক্ত ১০ বিচারকের বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বিচারক নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। আর যদি কেউ নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হন, সেক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আটজন অতিরিক্ত বিচারককে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রিট করেন তিনি।

রিট আবেদনে বলা হয়— হাইকোর্টের ৯ জন অতিরিক্ত বিচারকের দক্ষতা ও যোগ্যতা পর্যালোচনা করে তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই সুপারিশ মোতাবেক ৯ জনকেই নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, আটজনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সুপারিশ থাকার পরও বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় লঙ্ঘন করা হয়েছে।

/ইউআই/জেএইচ/