অবমাননা: সিরাজগঞ্জের ডিসিকে হাইকোর্টের ক্ষমা

High-Court-1_2নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দিকাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. শামীম আলম ও তারাশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানকেও হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মজিবুর রহমানকে ৩টি পুকুর ভোগদখলে বাধা না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে আদালতের আদেশ অমান্য করে ৩টি পুকুর ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় আদালত ব্যাখ্যা চাইলে আজ নির্ধারিত দিনে জেলা প্রশাসকসহ তিন কর্মকর্তা সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
আদালতে জেলা প্রশাসকসহ তিন কর্মকর্তার শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান ও ব্যারিস্টার উপমা বিশ্বাস। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুদোজ্জা  বাবু।
অ্যাডভোকেট বদরুদোজ্জা বাবু জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশে মজিবুর রহমান তিনটি পুকুর ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক পুকুরগুলোর ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ওই বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হলে হাইকোর্ট উক্ত পুকুর ইজারা না দেওয়ার জন্য ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

হাইকোর্টের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এরপরও আদেশ অমান্য করে গত ৩১ জানুয়ারি উক্ত পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। পরে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন মজিবুর রহমান সরকার।

এমটি/ইউআই/ এপিএইচ/